সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

dead body and electric furnace

কলকাতা | ১৯ বছর বয়সেই ডোমের কাজে! বাবার মৃত্যুর পর সংসার সামলাতে কী করলেন বারুইপুরের টুম্পা

Rajat Bose | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ : ১২Rajat Bose


তীর্থঙ্কর দাস:‌ সবকিছুর শেষ সেখানে তা হল শ্মশান। প্রত্যেকের জীবনের অন্তিম গন্তব্য শ্মশান। শ্মশানে জমিনের কথা আমরা প্রত্যেকে শুনেছি। কিন্তু আজ যার কথা আপনাদের শোনাবো সেই ডোম বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। পুরো শ্মশানে মানুষ বলতে এক জন। নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে চুল্লিতে ঢোকানো পর্যন্ত সবটাই নিজ দায়িত্বে পালন করে আসছে বারুইপুরের এই তরুণী। বারুইপুরের বাসিন্দা টুম্পা দাস (‌২৯)‌।

 


গত ১০ বছর ধরে বারুইপুরের পঞ্চায়েত এলাকা পুরন্দরপুর মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। কল্যাণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলের পুরন্দরপুর এলাকার পাশেই তাঁর বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে ছোট বোন, মা এবং ভাই। বাবার মৃত্যুর পর শ্মশানে ডোমের কাজ নির্দ্বিধায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। ১৯ বছর বয়স থেকে ডোমের কাজ করে চলেছে এই তরুণী। এটা ঘটনা ডোমের কাজে আমরা সাধারণত পুরুষদের দেখতে পাই, তাহলে কেন টুম্পা? উত্তরে জানান ২০১৪ সালের হঠাৎ করে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বড় মেয়ে হিসেবে তার কাঁধে সংসার সামলানোর গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছিল। তাই কিছু না ভেবেই বাবার চাকরিতেই যোগ দেয় টুম্পা। পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দশ বছর। কোনও ভয়ভীতি ছাড়াই নিজের কর্তব্যে অবিচল টুম্পা। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অগণিত দেহ সৎকার করেন তিনি। প্রথমে নাম নথিভুক্ত। তারপর চুল্লিতে দেহ ঢুকানো সমস্তটাই সাড়ে তিন হাজার টাকার মাসিক বেতনে তিনি করছেন। এখন অবশ্য ৫ হাজার টাকা বেতন পান। ২০১৯ সালে শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বসেছে। তার আগে কাঠের চুল্লিতেই শেষকৃত্য করা হত। 


টুম্পা জানায়, তিনি নিজেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি এই কাজ তিনি করতে পারবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এবং সময় তার ভাবনা বদলে দিয়েছে। ওখানে ১২ ঘন্টা থাকতে ভয় লাগার কথা শুনে টুম্পা মৃদু হেসে বলেন, ‘‌মরা মানুষের থেকে জীবিত মানুষের ভয় বেশি। প্রথমে ভয় লাগত কিন্তু এখন সমস্তটাই মানিয়ে নিয়েছি।’‌
মানুষের দম্ভ, অহংকার, টাকা, এমনকি গায়ের কাপড় সব কিছুই ৪৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। নিজেকে শ্মশানের ভেতরেই বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন টুম্পা। 

বিয়ে করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, একাধিক সম্বন্ধ এসেছে বাড়িতে। কিন্তু যখনই তারা টুম্পার কাজ সম্বন্ধে অবগত হন তখনই প্রত্যেকে পিছু পা হয়ে যায়। যদিও তাতে একদমই কষ্ট নেই টুম্পার। কারণ দিনের শেষে নিজের পরিবারকে সামলাতে পারছেন তিনি। এর থেকে বড় আর কী হতে পারে। টুম্পা গত দশ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ পুড়িয়েছে। এবং হাজারো দুঃখ, কষ্ট চুপ করে নিজের চোখে দেখেছেন।

 


#Aajkaalonline#deadbody#electricfurnace



বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

চাবি রইল ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাছে, অথচ খুলে গেল ভল্ট, মহেশতলার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অদ্ভুত চুরি...

চিড়িয়াখানায় উলটপুরাণ, মানুষ থাকবে খাঁচায়, বাইরে উড়ে বেড়াবে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি...

২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলায় জোর তৃণমূলের, তৈরি হল তিনটি পৃথক কমিটি...

কবে পর্যন্ত করা যাবে বিনামূল্যে আধার কার্ড আপডেট? সময়সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র...

৮৫৭ দিন পর জামিন পেলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, যেতে পারবেন না কলকাতার বাইরে...

বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ছক, নেট কানেকশন তো হলই না, উল্টে আলমারি ফাঁকা করে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী...

কলকাতার বিজয়গড় এলাকায় কারখানায় আগুন

চপার দিয়ে কোপানো হল এক ব্যক্তিকে, ভরসন্ধ্যায় রক্তারক্তি কাণ্ড জোড়াবাগানে...

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আগুন আতঙ্ক, মেন বিল্ডিং-এর দোতলায় আগুন ...

দূষণ বাড়ছে হাওড়া-কলকাতায়, গভীর উদ্বেগ বাতাসের একিউআই নিয়ে, এবার কি পরতে হবে মাস্ক? ...

ফের তৈরি নিম্নচাপ, ভাসতে চলেছে বাংলা? কী বলছে হাওয়া অফিস...

এখনই নয় সাংগঠনিক রদবদল, বড় সিদ্ধান্তের আগে আরও কিছুটা সময় চাইছেন মমতা...

Exclusive: বাবা আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী, বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় মেয়ে...

শীতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে নিম্নচাপ!‌ জানুন হাওয়া অফিস কী বলছে...

সাতসকালে মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় সমস্যায় যাত্রীরা, ঘণ্টাখানেক পর পরিষেবা হল স্বাভাবিক...





রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া



11 24